আর নায়িকারা আর দশটা সাধারণ নারীদের চেয়ে আলাদা। তাই খোলামেলা ভাবে চলাফেরা করবে- এটাই স্বাভাবিক। আপনি তাদের কাছে পর্দা করে চলাফেরা আশা করেন কিভাবে? যদি তারা পর্দা করেই চলাফেরা করতো। নিশ্চয়ই তারা নায়িকা হতো না। তারা জেনে বুঝেই অশ্লীলতাকে বেছে নিয়েছে।
অপু বিশ্বাসের কাপড় একটু এদিক সেদিক হলেই- শুরু হয় ট্রল। ছিঃ ছিঃ অপু বিশ্বাস এটা কি পরছে? এটা ঠিক হয়নি। তখন সুশীল সমাজের বিবেক নাড়া দিয়ে উঠে। তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। আবার বুবলি যখন সামনের সাইট ঢেকে রেখে ব্যাকসাইট খোলা ময়দান বানিয়ে রাখে তখন সুশীল সমাজের বিবেক জাগ্রত হয় না। বুবলির আজকের ড্রেস ৯০ দশকের অশ্লীলতাকে আবার মনে করিয়ে দিলো। তবে এটাকে আমি অস্বাভাবিক ভাবে দেখছি না। নায়িকা হিসেবে ড্রেস ঠিক আছে।
অস্বাভাবিক লাগে তখনই- যখন অপু বিশ্বাস বা অন্যে কারো বেলায় সব হারাম আর বুবলি বা অন্যেদের বেলায় সব হালাল। এটা সুস্থ স্বাভাবিক বিবেকবান মানুষের কাছে কাম্য নয়। সবাইকে সমান চোখে দেখবে এটাই স্বাভাবিক। সবার বেলায় এক নিয়ম।
তবে যদি আমি বুবলিকে বীরের মা হিসেবে দেখি- তাহলে বুবলি যেটা করছে মোটেও ঠিক করেনি। প্রতোকের কাছেই অস্বাভাবিক লাগবে। আশাকরি নেক্সট টাইম খোলামেলা ড্রেস পরিধান এর ক্ষেত্রে নজর দিবে।
একটা জিনিস খেয়াল করবেন- এক সময় পরীমনি খোলামেলা ড্রেস পরতো। মা হওয়ার পর থেকে সে খোলামেলা ড্রেস পরা একদম বন্ধ করে দিয়েছে। যেকোনো প্রোগ্রামে শাড়ি পরে যায়। এতেই তাকে রুপকথার রাজকন্যার মতো লাগে। ব্যাকসাইট বা সামনের সাইট দেখিয়ে নজরে আসতে হয় না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন